রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী? কাকে বলে?
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী? কাকে বলে? রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) হল সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা যা রাষ্ট্র, সরকার, রাজনীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ, কাঠামো, কার্যাবলী, এবং রাষ্ট্রের সাথে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে। এছাড়াও, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সরকারের বিভিন্ন রূপ, সরকারের ক্ষমতা, এবং সরকারের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল বিষয়বস্তুগুলো হল: রাষ্ট্রের […]
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী? কাকে বলে?
রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) হল সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা যা রাষ্ট্র, সরকার, রাজনীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ, কাঠামো, কার্যাবলী, এবং রাষ্ট্রের সাথে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে। এছাড়াও, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সরকারের বিভিন্ন রূপ, সরকারের ক্ষমতা, এবং সরকারের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল বিষয়বস্তুগুলো হল:
- রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ, এবং কাঠামো
- সরকারের বিভিন্ন রূপ এবং কার্যাবলী
- রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, এবং আন্দোলন
- নির্বাচন, ভোটাধিকার, এবং গণতন্ত্র
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক আইন, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি বাস্তব বিজ্ঞান। এটি রাষ্ট্র এবং রাজনীতির বাস্তব জগতের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব এবং ধারণা বাস্তব জগতের ঘটনাবলীকে ব্যাখ্যা এবং বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আমাদেরকে আমাদের চারপাশের রাজনৈতিক বিশ্বকে বোঝার জন্য সাহায্য করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদেরকে আমাদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এছাড়াও, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদেরকে একটি সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হতে সাহায্য করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস প্রাচীনকালে চলে যায়। প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এরিস্টটল তার “পলিটিকা” গ্রন্থে রাষ্ট্র, সরকার, এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন উনিশ শতকের শেষের দিকে শুরু হয়। ১৮৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে।