মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পূর্বে কী ঘটে !
মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পূর্বে কী ঘটে ! হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পূর্বে এটা ঘটে থাকে,এটা মৃত্যুর সিগন্যাল।মৃত্যুর প্রথম লক্ষণ হলো সাকারাতুল মাউত তথা মৃত্যু যন্ত্রণা,কুরআন ও হাদিসে সাকারাতুল মাউত সম্পর্কে বিবরণ এসেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ […]
মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পূর্বে কী ঘটে !
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পূর্বে এটা ঘটে থাকে,এটা মৃত্যুর সিগন্যাল।মৃত্যুর প্রথম লক্ষণ হলো সাকারাতুল মাউত তথা মৃত্যু যন্ত্রণা,কুরআন ও হাদিসে সাকারাতুল মাউত সম্পর্কে বিবরণ এসেছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
মৃত্যু যন্ত্রণা অবশ্যই আসবে,এ থেকেই তুমি পালাতে চাচ্ছিলে। [ সুরা ক্বাফ : ১৯ ]
সাকারাতুল মাউত অর্থ মৃত্যু যন্ত্রণা। এটা খুবই অসহনীয় যন্ত্রণা।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এ যন্ত্রনা ভোগ করেছেন।
আয়িশা রাদ্বিয়ালাহুতাআ’লা আনহু বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কক্ষে প্রবেশ করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সময় বিছানায় ছটফট করছিলেন এবং তার খুবই ঘাম বের হচ্ছিল।তিনি কপাল থেকে ঘাম মুচছিলেন,তিনি সে সময় বলেন, নিশ্চয় মৃত্যুর যন্ত্রণা রয়েছে।নিশ্চয় মৃত্যুর যন্ত্রণা রয়েছে।
মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ মানুষের খারাপ হওয়ার চিহ্ন নয়।স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ভোগ করেছেন।এটা মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত হওয়ার পূর্বের কমন ঘটনা।
মৃত্যুর ফেরেশতা যখন উপস্থিত হয়, মৃত্যুপথযাত্রী তাকে দেখতে পান। রাসূলপাক আমাদের বলেন,এর ব্যপ্তি হবে মিলি সেকেন্ডের মতো।যখন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। ফেরেশতাকে তার সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি তখনো এই দুনিয়ার অংশ।কিন্তু মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত এবং আপনি তা দেখতে পাবেন।
আল্লাহ তাআলা এ সময় সম্পর্কে কুরআনে বলেন,
لَقَدْ كُنتَ فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে।এখন তোমার কাছ থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি।ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন। [ সুরা ক্বাফ ৫০:২২ ]
অর্থাৎ, তোমরা এ থেকে পলায়ন করতে চেয়েছিলে। তোমরা তা থেকে অমনোযোগী ছিলে।তুমি আজ সত্যিকারের দুনিয়া দেখতে পাবে।তা হলো পরবর্তী জীবন,তুমি আজ সব কিছুই দেখতে পাবে।
অতএব যখন মৃত্যুর ফেরেশতা দৃশ্যমান হবে এবং আপনি এই পৃথিবীতেই আছেন।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখনই তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।আপনি যখন মৃত্যুর ফেরেশতাকে দেখবেন তারপর আর তওবার কোনো সুযোগ নেই।তখন অনুশোচনার এবং মুক্তির সকল আশা শেষ হয়ে গেছে।
আপনি যদি ভাল মানুষ না হন,তবে এখন আর আপনার ভালো হওয়ার কোন সুযোগ নেই।মৃত্যুর ফেরেশতা আপনার আত্মা নিয়ে যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন আত্মা (রুহ) শরীর ত্যাগ করবে,তখন চোখ রুহের দিকে চেয়ে থাকবে।” এটা মুসনাদে আহমদের সহিহ হাদিস।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি রুহের দিকে তাকিয়ে থাকে।আমরা সকলেই তা দেখি।প্রত্যেক ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে, তার চোখ খোলা থাকে। কেন? কারণ,আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা সে সময় আমাদেরকে রুহ দেখার সুযোগ দেন।
মূলঃ শায়খ ড. ইয়াসির ক্বাদি।
অনুবাদঃ আল কালাম টীম।