মাতাল অবস্থায় তালাকের বিধান কী?
মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় তালাক দিলেও তালাক পতিত হয়ে যায়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। এখন লোকটি পুনরায় সুষ্ঠুরূপে ঘর-সংসার করতে চাইলে ইদ্দতের মধ্যে ‘রজআত’ অর্থাৎ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবেন। রজআতের পদ্ধতি হচ্ছে, ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করা। যেমন একথা বলা যে, তোমাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ […]
মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় তালাক দিলেও তালাক পতিত হয়ে যায়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। এখন লোকটি পুনরায় সুষ্ঠুরূপে ঘর-সংসার করতে চাইলে ইদ্দতের মধ্যে ‘রজআত’ অর্থাৎ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
রজআতের পদ্ধতি হচ্ছে, ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করা। যেমন একথা বলা যে, তোমাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করলাম।
একথা বলার দ্বারাই তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে। আর যদি তিনি ইদ্দতের ভেতরে (ঋতুমতী মহিলার জন্য তিনটি ঋতুস্রাব অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। আর অন্তঃসত্ত্বা মহিলার জন্য সন্তান প্রসব পর্যন্ত) রজআত না করেন, তবে ইদ্দত শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আবার ঘর-সংসার করতে চাইলে নতুন মহর ধার্য করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নতুন করে বিবাহ করতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, এই স্ত্রীকে ইদ্দতের ভেতরে রজআত করা হোক বা ইদ্দত শেষ হওয়ার পর পুনরায় বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীকে গ্রহণ করা হোক-উভয় ক্ষেত্রে লোকটি দুই তালাকের অধিকারী থাকবেন।
তাই পরবর্তীতে কখনো তাকে দুই তালাক দিলে পূর্বের এক তালাকের সাথে মিলে তিন তালাক হয়ে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে বিবাহ করেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই ভবিষ্যতে তালাকের ব্যাপারে খুবই সর্তক থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, শরীয়তে মদ্যপান সম্পূর্ণ হারাম। মদের বিষয়ে কুরআনে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং হাদীসে কঠিন হুঁশিয়ারি এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَلاَ يَشْرَبُ الخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ. অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যখন মদ পান করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় থাকে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৭৭২)
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৮২৫৮; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৫/১৩; বাদায়েউস সানায়ে ৩/১৫৮; ফাতহুল কাদীর ৩/৩৪৫; আলইখতিয়ার ৩/১৪৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/৩৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/২৪৭।