ঐতিহ্যবাহী এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়
৭৬ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে চাঁদপুর, মতলব উত্তরের ঐতিহ্যবাহী এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থীই আজ জাতীয় পার্যায়ে অবদান রাখছেন। নদীতীরবর্তী এলাকার এখলাছপুর ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত জয়নুল আবেদিন। এটি মতলব উত্তর উপজেলার একটি স্বনামধন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রায় ২.৯৪ একর সম্পত্তির […]
৭৬ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে চাঁদপুর, মতলব উত্তরের ঐতিহ্যবাহী এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থীই আজ জাতীয় পার্যায়ে অবদান রাখছেন।
নদীতীরবর্তী এলাকার এখলাছপুর ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত জয়নুল আবেদিন।
এটি মতলব উত্তর উপজেলার একটি স্বনামধন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রায় ২.৯৪ একর সম্পত্তির নিয়ে গঠিত হয় এই প্রাঙ্গন। বর্তমানে ৪টি ভবন রয়েছে, এরমধ্যে বিদ্যমান ১৭টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি বিজ্ঞানাঘার।
এই বিদ্যাপীঠে পাঠদানে নিয়োজিত আছেন ১৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা। মোট শিক্ষকের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১৩ জন ও মহিলা শিক্ষক রয়েছে ৩ জন এদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ১১ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৪ জন।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন মোঃ মিজানুর রহমান এবং সভাপতির দায়িত্বে আছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মোঃ কামাল উদ্দিন।
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ে প্রায় ৮৪১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন, এদের মধ্যে বালক ৪১৩ জন বালিকা ৪২৮ জন। ২০২৩ সালের এস এস সি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী- ১৪৮ জন, পাশের হার- ৮৩.৬৭% কৃতকার্যদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী এ+ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠ থেকে শিক্ষাগ্রহন করে বর্তমানে অনেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত আছেন। অত্র বিদ্যালয়ের কীর্তিমানদের মধ্যে অন্যতম বুয়েট এর শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক সরকার আঃ মান্নান।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, কার্যনির্বাহী পরিষদ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের একটাই প্রত্যাশা উপজেলার মধ্যে বিদ্যালয়টিকে একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করা।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাল ফলাফল ও বিদ্যালয়ের শিক্ষাউপযোগী পরিবেশ বজায়ে রাখতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনসাধারন খুবই আন্তরিক। সর্বোপরি সকলের আন্তরিকতা না থাকলে স্কুলটি হয়তো আজকের এ পর্যায়ে এসে দাড়াতে পারতো না।